নবিজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা মাহে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করো।’ (বুখারি)। এ রাত হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার রাত।
হজরত আয়েশা (রা.) একবার রাসুলকে (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি লাইলাতুল ক্বদর সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে আমি ওই রাতে কী দোয়া করব?
তখন নবিজি (সা.) বললেন, তুমি এ দোয়াটি করবে-‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফু’উন; তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি তো ক্ষমাশীল! ক্ষমাকে তুমি ভালোবাসো। অতএব, আমাকে তুমি ক্ষমা করো।
নবিজির (সা.) সময় অনেক সাহাবি (রা.) রমজানের ২৭ তারিখকে লাইলাতুল ক্বদর হিসেবে স্বপ্ন দেখেছেন। সাহাবীগণ (রা.) নবিজিকে (সা.) স্বপ্নের কথা জানালে নবিজি (সা.) বলেন, আমিও এমনটা স্বপ্নে দেখেছি।
হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহর শপথ করে বলছি-নবিজি (সা.) ২৭ রমজানের রাতকে লাইলাতুল ক্বদরের রাত বলেছেন।’ অন্য হাদিসে রয়েছে, নবিজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি দুর্বল অথবা কোনো কারণে অক্ষম হয়ে থাকে, সে যেন রমজানের ২৭ তারিখ রাতে ইবাদত করে।’ (মুসলিম)।
আরেক হাদিসে এসেছে-নবিজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল ক্বদর পেতে চায়, সে যেন তা রমজানের সাতাশ তম রাতে অনুসন্ধান করে। (মুসনাদে আহমদ)।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।